ফয়জুন্নেসা মণি
চারদিকে জীবাণু ছড়িয়ে আছে বলে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতাই দূরে রাখতে পারে আপনাকে জীবাণু জগৎ থেকে। আর যদি জীবাণূ সম হয়ও আপনাকে আক্রমণ করতে- শরীরের কার্যকরী রোগ প্রতিরোধ মতা যুদ্ধ করবে সেসব অবাঞ্চিত জীবাণুর সাথে।
হামগুড়ি দিতে শেখা চোট বাচ্চার পেট খারাপের প্রথম কারণ হাতের সামনে পাওয়া যেকোনো জিনিস মুখে পোরা। খালি পায়ে হেঁটে পানিতে ও বালিতে খেলা করে আপনার চোখের সামনেই সে জীবাণুর আশ্রয় হয়ে উঠেছে। না জেনেই এসব শিশু নিজেরা শিকার হচ্ছে জীবাণু আক্রমনের। আর তাই যদি জীবাণুর বাহক হিসাবে তালিকা তৈরি করা হয় তাহলে হয় শিশুদের অবস্থান হবে শীর্ষে। আর সেই জীবাণু নিজেদের প্রিয় মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে অসুখের উৎপাত ।
জীবাণু সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে হলে-
১. শিশুদের ব্যবহার্য সরঞ্জামের প্রতি নজর রাখতে হবে।
২. শিশুদের খেলনা, কাপড়চোপড়, জুতা, ঘরের অন্যান্য স্থান নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৩. বাচ্চার স্কুল, ডে-কেয়ার সেন্টারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে ল্য রাখতে হবে।
কখনো ভেবেছেন-
ক) ঘর ভর্তি মেহমান। চায়ের কাপ আসছে আর খালি হচ্ছে। অথবা চায়ের দোকানে আরামছে গিলছেন চায়ের ভাপ। কতজনের মুখের জীবাণু আপনি চায়ের সাথে গিলেছেন? চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস-আদালতেও এক একটা চায়ের কাপে লেগে থাকে হাজারো রোগের জীবাণু। কি করবেন- অফিসে কিংবা চায়ের স্টলে কাপটি গরম পানি দিয়ে ধোয়ে দিতে বলুন।
খ) ফোনের রিসিভার, মাউথপিস অথবা নাম্বারগুলো ভরা থাকে ইনফুয়েঞ্জা আর ঠান্ডার ভাইরাসে। আপনার বা অন্য কারো মোবাইলটিরও একই অবস্থা! কি করবেন - ফোনে কথা বলার সময় ফোনটা টিস্যু বা রুমাল দিয়ে ধরে রাখুন। মাউথপিস থেকে মুখ কিছুটা দূরত্বে রাখুন। এতে আপনার প্রিয়জন দূরে না থাকলেও জীবাণুরা দূরে থাকবে।
গ) গণশৌচাগারে জীবাণুর কথা বাদই দিলাম কিন্তু বর্তমান আধুনিক হোটেল, শপিং মল, রেলস্টেশন, এয়ারপোর্টের আধুনিক সব রেস্ট রুম বা এর টয়লেট সম্পর্কে যথেষ্ট সাবধান থাকার অবকাশ আছে। টাইলসে ঢাকা ঝকঝকে মেঝের সুদৃশ্য টয়লেটগুলো ব্যাকটেরিয়ার বিশেষ আশ্রয়স্থল। হাত ধোয়ার বেসিনগুলো টয়লেটের চেয়ে বেশি জীবাণুপূর্ণ। কি করবেন- জীবন বাঁচাতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আধুনিক রেস্ট রুমগুলোয় গরম পানির ব্যবস্থা থাকে। গরম পানি ও সাবান ব্যবহার করবেন সতর্কভাবে।
ঘ) প্রতিদিন আমাদের দাঁতের গোড়ায় যে খাদ্যদ্রব্য জমে থাকে তার নিচে ৪০০’র বেশি ব্যাকটেরিয়া। আট থেকে বারো সপ্তাহের মধ্যে এসব ব্যাকটেরিয়া দাঁত ও মাড়ির মধ্যে নবের মতো তৈরি করে ফেলে। এসব তিকারক ব্যাকটেরিয়া আপনার রক্ত পরিবহনে বাধা দিয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের জন্যও দায়ী হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া এবং তাদের দ্বারা নিঃসৃত দূষিত পদার্থ গর্ভপাত ও অপরিণত শিশুর জন্মের জন্যও দায়ী। এছাড়া মুখের দুর্গন্ধ, মাড়ির থেকে রক্তরণও হয়ে থাকে ব্যাকটেরিয়ার কারণে।
এখানে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার স্বত্ত্ব ও দায় লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে এখানে যেন নির্ভুল, মৌলিক এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি প্রকাশিত হয়। তারপরও সার্বিক চর্চার উন্নয়নে আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
যদি কোনো নকল লেখা দেখে থাকেন অথবা কোনো বিষয় আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের কাছে বিস্তারিত লিখুন।