* প্রথমেই যে কাজটি করবেন তাহলো- শিশুকে মনে করে পানি পান করাবেন। শুধু তাই নয়- তাকে নিজে পানি পান করতে উদ্বুদ্ধ করবেন। পানি ছাড়াও ডাবের পানি, শরবত, স্যালাইন বা জুসও দিতে পারেন।
* গরমের সময় শিশুদের দৌড়ঝাঁপ করতে না করবেন। যদি দৌড়ঝাঁপ করে অবশ্যই ঘাম মুছিয়ে দিবেন।
* শিশুকে রোদে যেতে দিবেন না। শিশুকে বাসায় বা ঠাণ্ডা জায়গায় খেলতে বলুন।
* স্কুলে যাওয়ার সময় অবশ্যই ছাতা ও খাবার পানির বোতল সঙ্গে দেবেন।
* শিশু যেন বাইরের খাবার না খায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাসাতেই তার পছন্দের খাবার তৈরি করে দিন।
* খাবার খাওয়ার আগে ও বাথরুম করার পরে হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
* শিশুকে সবসময় আরামদায়ক পোশাক পরাবেন। সেক্ষেত্রে সুতি ও লিলেনের কাপড় বেছে নিতে পারেন। এবং খেয়াল রাখবেন পোশাকটা যেন ঢিলেঢেলা হয়।
* এক পোশাক দীর্ঘ সময় পরিয়ে না রেখে ঘেমে গেলে খুলে অন্য পোশাক পরিয়ে দেবেন। বেশি ঘেমে গেলে সেক্ষেত্রে শরীরটা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছিয়েও দিতে পারেন।
* গোসল করানোর পর গা মুছিয়ে শিশুকে পাউডার লাগিয়ে দেন তাহলে ঘাম কম হবে। পাউডার লাগালে ঘামাচিও কম হবে।
* গরমের সময় পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি থাকে তাই এগুলো থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। পোকামাকড় মুক্ত থাকতে ঘর বাড়ি পরিষ্কার রাখবেন। খেয়াল রাখবেন ফুলের টবে বা অন্য কোথাও এমনকি বালতিতেও যেন বেশিদিন পানি জমে না থাকে।
* সরাসরি এসি বা ফ্যানের নিচে শিশুকে শোয়াবেন না। এতে বুকে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে তাই এসি বা ফ্যান থেকে একটু দূরে শোয়াবেন।
আপনার একটু যত্নে দেখুন- এই গরমেও আপনার শিশু বেশ সুস্থ থাকবে।
এখানে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার স্বত্ত্ব ও দায় লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে এখানে যেন নির্ভুল, মৌলিক এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি প্রকাশিত হয়। তারপরও সার্বিক চর্চার উন্নয়নে আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
যদি কোনো নকল লেখা দেখে থাকেন অথবা কোনো বিষয় আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের কাছে বিস্তারিত লিখুন।