মানুষের লিখিত পাঁচটি মৌলিক চাহিদার কথা আমরা সবাই জানি। মানুষের একটি অলিখিত চাহিদা হল ইচ্ছাপূরণ। হুম, আমাদের প্রায় সবারই হরেক রকমের ইচ্ছে থাকে। সেই ইচ্ছে পূরণের ইচ্ছাও থাকে।
আজ ২৯শে এপ্রিল বিশ্ব ইচ্ছাপূরণ দিবস। জানেন কি কোথায় থেকে শুরু হল এই দিবসের? কি কাহিনী লুকিয়ে আছে এই ইচ্ছাপূরণ দিবসের আড়ালে?
ছোট্ট ছেলে ক্রিস গ্রেইসিয়াস। বয়স তার মাত্র ৭ বছর। এই বয়েসেই শরীরে তার বাসা বাঁধে ভয়াবহ লিউকেমিয়া। ক্রিসের প্রবল ইচ্ছা সে পুলিশ অফিসার হবে। পুলিশরা তার এই ইচ্ছার কথা জানতে পারলো। তারা ঠিক করলো ক্রিসের এই ইচ্ছা তারা পূরণ করবে।
শিশু ক্রিস পুলিশ অফিসার হল। হ্যা, একদিনের জন্য তার ইচ্ছাপূরণ করলেন পুলিশরা। যেদিন ক্রিসের এই ইচ্ছাপূরণ হয়েছিলো সেই দিনটা ছিলো ১৯৮০ সালের ২৯শে এপ্রিল।
ধীরে ধীরে অন্যরা এই ইচ্ছাপূরণের কথা জানলো। সবাই ভাবলো অসুস্থ শিশুদের ইচ্ছাপূরণের এই ব্যাপারটা আসলেই বেশ ভালো। তাই তারা সবাই মিলে একটি ইচ্ছাপূরণ ফাউন্ডেশন গঠন করলো যা বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম সেরা শিশু চ্যারিটি ফাউন্ডেশন।
পুলিশ কতৃক ক্রিসের ইচ্ছাপূরণের সেই দিনটিকেই স্মরণ করে প্রতিবছর ২৯শে এপ্রিল ইচ্ছাপূরণ দিবস পালন করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৪৮টি দেশ এই ইচ্ছাপূরণ দিবস পালন করে থাকে। যে কেউ, যে কোন দেশ থেকে এই দিবস পালন করতে পারে অসুস্থ শিশুদের ইচ্ছাপূরণের মাধ্যমে।
আমাদের চারপাশে কত শিশু আছে যারা রোগে আক্রান্ত, অসুস্থ কিংবা ধরুন ঠিকমত খেতেও পায়না। আমরা সমাজের সচল ব্যাক্তিরা প্রত্যেকে যদি একটি করে শিশুর ইচ্ছাপূরণের দায়িত্ব নিয়ে সাহায্য করার ইচ্ছাপূরণ করি তবে মন্দ কি?
মানুষ মানুষের জন্য। সেদিন পুলিশরা ক্রিসের ইচ্ছাপূরণ করে যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তেমন মানবিকতা আমাদের সবার মাঝে থাকা উচিত। আসুন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়াই। ওদের ছোট ছোট ইচ্ছাগুলো পূরণ করি আমরা সবাই মিলে।