ব্রায়ান অ্যাকটনের নাম হয়ত সবারই
জানা আছে। যদি না জেনে থাকেন তবুও সমস্যা নেই। আজ জানবেন। এই ব্যক্তির সম্পর্কে
এখন এমন কিছু বলব যা আপনার আমার জীবনের জন্য প্রেরণাদায়ক হবেই।
আজকাল প্রায় সবারই কাছে অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন আছে। আর ফোনে হোয়াটস অ্যাপ এপ্স নাই এমন ফোন পাওয়াই যাবে না। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা হয়ত হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারের জন্যই অ্যানড্রয়েড ফোন কিনেছেন। যাইহোক হোয়াটস অ্যাপের কাজ সবারই জানা আছে। তবে এর পিছনের ঘটনা কী জানি! আসুন একটু জানার চেষ্টা করি।
ব্রায়ান অ্যাকটন যিনি হোয়াটস অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, তিনি ২০০৯ সালে ফেসবুকে চাকুরির জন্য গিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ফেসবুকে চাকুরি করবেন। কিন্তু ফেসবুক তাকে চাকুরি দেয়নি। ব্রায়ান এতে খুবই মনঃকষ্ট পান। তবে তিনি হার না মেনে হতাশ না হয়ে টুইটারে চাকুরির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু টুইটারেও তাঁর চাকুরি মেলেনি।
আজকাল আমরা কোন কোম্পানি বা চাকুরি থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেই ভুল পথে পা বাড়াই। আবার নিজেকে যোগ্যতাহীন মনে করে শোক করতে থাকি। আত্মহত্যার ঘটনাও আছে! থাক সেসব কথা। ব্রায়ান এমন কোনটাই করেননি।
তিনি উঠে দাঁড়ান এবং নতুন আশা নিয়ে আগাতে থাকেন। তিনি তাঁর এক বন্ধুর সাথে রাতদিন পরিশ্রম করতে থাকেন। অবশেষে তাঁরা হোয়াটস অ্যাপ এপ্সটি তৈরি করতে সক্ষম হন। যেটি আজ সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এখন ফেসবুক ব্রায়ানের হোয়াটস অ্যাপে এপ্সটি ১৯ বিলিয়ন ডলারে ক্রয় করেছে! ব্রায়ান আজ ফেসবুকের শেয়ার হোল্ডার তথা ভাগীদার! মনে পড়ে ৬ বছর আগে এই ব্রায়ান ফেসবুকে চাকুরির আশায় গিয়েছিলেন!
আমাদের সফলতা আমাদের চিন্তার উপর নির্ভর করে। আমরা একটা কাজে ব্যর্থ হলেই হয়ত জীবনটাই শেষ করে দিতে চাই। ব্যর্থ হলে হতাশায় ডুবে বসে থাকি। কিন্তু এমন না করে আমাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি দিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে। তবেই আমরা সফল হতে পারব।