বর্ন বলতে সাধারণত রঙকে বোঝানো হয় আর বৈষম্য বলতে পার্থক্য। তারমানে বর্ন বৈষম্য বলতে রঙের পার্থক্যকে বোঝানো হয়েছে। মানুষের পরিচয় তো একটাই হবার কথা ছিলো যে সে মানুষ। বর্ন দিয়ে তবুও আমাদের সমাজে মানুষের পার্থক্য করা হয়।
কেবল আমাদের সমাজ বললে ভুল হবে কালো আর ফর্সার দ্বন্দ্বটা পুরো পৃথিবীতেই চলছে। সে দ্বন্দ্বে কৃষ্ণাঙ্গের উপর শ্বেতের অত্যাচারের কাহিনীই বেশিই। যুগ যুগ ধরে কৃষ্ণাঙ্গরা অত্যাচারিত হয়ে আসছে, শ্বেতদের দ্বারা। কিন্তু কেন বলতে পারেন? একজন মানুষের বাহ্যিক বর্নই কেন তার পরিচয় হবে?
নেন্সন ম্যান্ডেলা থেকে শুরু করে কত শত নেতা বর্ন বৈষম্য দূর করতে আন্দোলোন করলো। কত নেতা ভাষণ দিলো। কিন্তু বেলা শেষে কৃষ্ণাঙ্গরা নির্যাতিত, অবহেলিত।
বাজারের পন্য বিক্রি হয় গায়ের রঙ পরিবর্তন করতে, মেহেদী রাঙানো হাতে মেহেদীর রঙ যাওয়ার আগেই নতুন বধূকে খোটা শুনতে হয় গায়ের রঙ এর জন্য। আর কত মেয়ের যে বিয়েই হল এই গায়ের রঙ এর জন্য তার হিসেব তো অজানা।
কালো মেয়ে যেন মা বাবার বোঝা। আজকাল ছেলেদের ক্ষেত্রেও তাই। ফর্সা সবাইকে হতে হবেই! আজকে আন্তর্জাতিক বর্ন বৈষম্য দূরীকরণ দিবস। একটি আলাদা দিনে বর্ন বৈষম্য নিয়ে দিবস পালন করা মানে সমাজকে বুঝিয়ে দেয়া, কতটা প্রকট অবস্থান এই বর্ন বৈষম্যের।
আমরা কোন বিশেষ দিন চাই না। কেবল সমাজ থেকে বর্ন দিয়ে মানুষ বিচার করার প্রথাটাকে আসুন উপড়ে ফেলি।