ভ্যালেন্টাইন ডে' প্রচলনের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতবাদটা হল- রোমান সম্রাট ক্ল্যাডিয়াস-দ্বিতীয় যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিয়ে নিষিদ্ধ করেছিলেন। বিশপ ভ্যালেন্টাইন তা না মেনে গোপনে বিয়ে দিলেন আর শাস্তি হিসেবে তাকে নিক্ষেপ করা হল কারাগারে। সেখান থেকেই তিনি চিঠি পাঠালেন - 'ফ্রম ইয়োর ভ্যালেন্টাইন' লিখে।
এমন আরও কিছু মজার তথ্য দেখে নিন এক ঝলক !
২। ভিক্টরিয়ান যুগে ভ্যালেন্টাইন কার্ডে সাক্ষর করাকে 'দূরভাগ্য' হিসেবে ধরা হত।
৩। পরিসংখ্যান বলে, ৩ শতাংশ মানুষ তাদের পোষা প্রাণীকে' ভ্যালেন্টাইন উপহার দেয়।
৪। ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে কার্ড বিনিময় হবার সংখ্যাটা প্রায় ১ বিলিয়ন!
৫। একা আছেন বলে হতাশ হবেন না । আপনার জন্যও আছে 'সিঙ্গেলস অ্যাওয়ারনেস ডে'।
৬। মধ্যযুগে মেয়েরা ভ্যালেন্টাইন ডে -তে অদ্ভুত রকমের খাবার খেত তাদের ভবিষ্যৎ 'পতির' স্বপ্নের মানুষ হবার জন্য।
৭। মধ্যযুগে তরুণ-তরুণীরা একটা বিরাট গামলায় কাগজের টুকরোয় লেখা অনেকগুলো নাম রাখতো। সেখান থেকে নাম তুলে দেখতো কে তার সম্ভব্য ভ্যালেন্টাইন হতে পারে!
৮। ১৫৩৭ সালে ইংল্যান্ডের রাজা 'হেনরি-সপ্তম' প্রথম অনুষ্ঠানিকভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে ঘোষণা দেন।
৯। মজার ব্যাপার হল ,১৮০০ শতকের দিকে চিকিৎসকরা ভালোবাসার ক্ষত শুঁকানোর জন্য চকলেট খাবার পরামর্শ দিতেন।
১০। ১৮০০ শতাব্দীর শেষের দিকে রিচার্ড ক্যাডবেরি সর্বপ্রথম ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে বিশেষ এক বাক্স 'চকলেট 'প্রস্তুত করেন।
১১। ভ্যালেন্টাইন ডে-তে ফুল ক্রেতাদের ৭৩ শতাংশই হল
পুরুষ আর বাকি ২৭ শতাংশ নারী।
গার্ডিয়ান থেকে অনুবাদ রিয়াদ আরিফ।