বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি
১৯৫৬ সালে। সে হিসেবে এবছর ৬০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ডায়াবেটিক সমিতির
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটি থেকেই প্রতিবছর ‘ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস’ পালিত হয়।
ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ করার উপায়সহ
বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্যে দিবসটি উদযাপিত হয়।
বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী বর্তমানে ৪০ কোটি! ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালে ৫০ কোটি ছাড়াবে! দেশে বর্তমানে ৯০ লক্ষ রোগী আছে। প্রতিবছর এক লক্ষ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে! গ্রামাঞ্চলে ৫-৮ শতাংশ এবং ঢাকা শহরে প্রায় ১০ শতাংশ লোক আক্রান্ত।
দীর্ঘদিন ধরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকলে ডায়াবেটিস রোগ হয়। সাধারণত বংশগত ও পরিবেশগত কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। রোগটি একবার হলে সারাজীবন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়।
লক্ষণ:
- স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বেশি প্রস্রাব হয় (বিশেষত: রাতে)।
- খুব বেশি পানি পিপাসা।
- ক্লান্তি।
- অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া।
- যৌনাঙ্গের চারপাশে চুলকানো।
- কেটে গেলে সহজে না শুকানো।
- চোখে ঝাপসা দেখা (চোখের লেন্স শুকিয়ে এমন হয়।)
রোগ নির্ণয়:
- মানুষের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ: ৩.৩-৬.৯ মিলি.মোল/লি.
- খাবার পর তা হয়: <৭.৮ মিলি.মোল/লি.
- যদি অভূক্ত অবস্থায় কারো রক্তে ৭ মিলি.মোল/লি. এবং খাওয়ার পর >১১ মিলি.মোল/লি. গ্লুকোজ পাওয়া যায় তবে তার ডায়াবেটিস আছে প্রমাণিত হয়।
প্রতিরোধ:
- ডায়েট প্লান অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা।
- শারিরিকভাবে সক্রিয় থাকা।
- নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ।
- সঠিক সময়েই পরীক্ষা করা।
- নিয়মিত রক্তে শর্করার পরিমাণের রেকর্ড রাখা।
চিকিৎসা:
- ইনসুলিন নেয়া।
- এন্টিডায়াবেটিক ঔষধ সেবন।